তৃতীয়ত আমি যেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই, তা হলো ইসলামোফোবিয়া (Islamophobia)। বর্তমানে বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা ১৩০ কোটিরও বেশি। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও লক্ষ কোটি মুসলমান সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করছে। ৯/১১-এর পর ইসলামোফোবিয়া ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে নানা সম্প্রদায় থাকলেও তারা একই সাথে বসবাস করবে, এটাই প্রত্যাশা। তাদের মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতা ও বোঝাপড়াও থাকবে; কিন্তু ইসলামোফোবিয়া মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে দিচ্ছে।
ভাবতে পারেন—মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান এখন অনেক দেশেই একটি বড়ো ইস্যুতে পরিণত হয়েছে! হিজাব এখন একটা ইস্যু! হিজাবকে এমনভাবে দেখা হচ্ছে, যেন এটা মারাত্মক কোনো মারনাস্ত্র। একজন নারী স্বল্প কাপড় পরিধান করতে পারবেন, কিন্তু চাইলেই তিনি পুরো শরীর ঢাকতে পারবেন না। ভাবতে পারেন? কেন হিজাব পড়া নিয়ে এত সমস্যা হচ্ছে? শুধুমাত্র ইসলামোফোবিয়ার কারণে। আদতে কখন এই ইসলামোফোবিয়া শুরু হলো? ৯/১১-এর পর থেকেই। কীভাবে শুরু হলো? বেশ কয়েকজন পশ্চিমা নেতা ইসলামকে সন্ত্রাসের সাথে মিলিয়ে ফেলেছিলেন। তারা ইসলামিক টেরোরিজম নামে নতুন একটি বিষয়ের অবতারণা করেছিলেন। আরেকটি নামও তখন থেকেই শোনা গিয়েছিল; র্যাডিক্যাল ইসলাম বা ইসলামি মৌলবাদ। র্যাডিক্যাল ইসলাম কী?
এরকম কোনো শব্দ ইসলামে নেই। ইসলাম একটাই, যা আমাদের সামনে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আদর্শ হিসেবে রেখে গেছেন। এর বাইরে আলাদা কোনো ইসলাম নেই। র্যাডিক্যাল ইসলাম, ইসলামিক টেরোরিজম প্রভৃতি শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা বিশ্বকে কী বার্তা দিতে চেয়েছেন? ইসলামোফোবিয়ার প্রসার এভাবেই ঘটেছে। নিউইয়র্ক, আমেরিকার অন্য কোনো শহরে কিংবা ইউরোপের কোনো দেশে থাকা একজন ব্যক্তি কীভাবে র্যাডিক্যাল মুসলিম আর একজন মডারেট মুসলিমের (উদারমনা মুসলমান) মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করবে? আসলে কোনো ধর্মেই সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। পশ্চিমা নেতাদের কেউ কেউ যত্রতত্র এই ইসলামিক রেডিক্যালিজম বা ইসলামিক টেরোরিজম শব্দগুলো ব্যবহার করার কারণেই ইসলামোফোবিয়ার উত্থান ঘটেছে।
ইসলামোফোবিয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা কষ্ট পাচ্ছে। যখনই কোনো মুসলিম অন্য কোনো দেশে বেড়াতে যায়, সে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। অন্যদিকে, ইউরোপীয়ান দেশগুলোতে এই ইসলামোফোবিয়ার কারণেই মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করে ফেলা হচ্ছে। আর আমরা সবাই জানি যে, কোনো গোষ্ঠীকে কোনঠাসা করে ফেলা হলে তাদের মধ্য থেকে চরমপন্থার সূচনা হয়। সিরিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা অনেক সময় যে উগ্রবাদি মুসলমানদের দেখতে পাই। তারাও দীর্ঘদিন কোনঠাসায় থাকার কারণেই এই পর্যায়ে এসেছে। আমি চাই, আমরা সবাই যেন এই বিষয়টা নিয়ে আরেকটু তৎপর হই।
অত্যন্ত দু:খের সাথে আমি বলতে চাই—মুসলিম দেশগুলোর নেতারাও এই বিষয়ে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে পারেননি। ৯/১১-এর পর যখন র্যাডিক্যাল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা করা হয়, তখন মুসলিম নেতাদের দায়িত্ব ছিল সবাইকে (বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোকে) বোঝানো—র্যাডিক্যাল ইসলাম বলতে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ইসলামে নেই। প্রতিটি মানব সম্প্রদায়েই কিছু মানুষ থাকে, যারা কট্টরপন্থী। আবার কিছু মানুষ থাকে, যারা উদারমন্ আবার কেউ-বা মধ্যমপন্থী। খৃষ্টান বা ইহুদী সমাজে এবং অন্য যেকোনো সম্প্রদায়েই এরকম বিভিন্ন মানসিকতার লোকদেরকে পাওয়া যায়। কিন্তু ইসলাম কখনোই র্যাডিক্যাল নয়। জুডাইজম, খৃষ্টধর্ম, হিন্দুধর্ম কেউই র্যাডিক্যাল নয়। কেউই চরমপন্থা অবলম্বনের শিক্ষাও দেয় না। সকল ধর্মেরই মুল কথা হলো সহানুভূতি ও ন্যায়বিচার। আর এই বৈশিষ্টের কারণেই আমরা অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, পশ্চিমা সেই প্রচারণার মুখে মুসলিম নেতৃবৃন্দ র্যাডিক্যাল মুসলমান হিসেবে চিত্রায়িত হওয়ার ভয়ে এতটাই তটস্থ হয়ে পড়েন যে, তারা পাল্লা দিয়ে মডারেট হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে যান।
পাকিস্তানও একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে গেছে। পাকিস্তান তখন এই ঝড়ের মুল কেন্দ্রস্থলেই অবস্থান করছিল। আর আমাদের তৎকালীন সরকারগুলো নতুন একটি শব্দেরই প্রচলন করে ফেলে; যা হলো, ‘Enlightened moderation’। কেউই তখন বোঝেনি যে, এই শব্দের অর্থটাই-বা কী! কিন্তু দেখা যেতো, অনেকেই নিজেকে মডারেট প্রমান করার জন্য হঠাৎ করে কোর্ট বা স্যুট পরিধান শুরু করেছিল কিংবা সবাই কমবেশি ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করে দিয়েছিল। মডারেট কাকে বলে, এটা নিয়ে কারও মাঝে তেমন কোনো ধারনাই ছিল না। কার্ আমরা মুসলমানেরা পশ্চিমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টাই করিনি যে, র্যাডিক্যাল ইসলাম বলতে কোনো ধারণারই অস্তিত্ব নেই।
৯/১১-এর পর ইসলামকে সন্ত্রাসের সাথে মিলিয়ে ফেলার একটা বড়ো কারণ ছিল আত্মঘাতি বোমা হামলা। কারণ, নাইন-এলিভেনের আক্রমনকারীরা আত্মঘাতি হামলাই চালিয়েছিল। আর তারপর থেকেই নানা ধরনের তত্ব আমাদের সামনে আসতে শুরু করে। বলা হয়েছিল, মুসলমানরা আত্মঘাতি বোমা হামলায় জড়িত হয়। এভাবে জীবন দিলে তাদেরকে জান্নাত পাওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেক নারী বোমা হামলাকারীও ছিল। তাদের ব্যাপারে আবার অন্য কথা। এভাবে সব মিলিয়ে একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। আত্মঘাতি হামলাকে ইসলামের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়। অথচ কেউ গবেষণা করেনি যে, ৯/১১-পূর্বে বিশ্বে যত আত্মঘাতি বোমা হামলা হয়েছে, তার সিংহভাগের সাথে জড়িত ছিল তামিল টাইগাররা; যারা ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে হিন্দু। তখন কেউ সেই আত্মঘাতি হামলার জন্য হিন্দুত্ববাদকে দায়ি করেনি। হ্যাঁ, হিন্দুত্ববাদকে দায়ি না-করাটাই সঠিক। শ্রীলংকায় সংঘটিত এসব বেপরোয়া আত্মঘাতি হামলার সাথে হিন্দুত্ববাদের কিই-বা সম্পর্ক আছে?
আমরা সবাই জাপানের কেমিকেজ পাইলটদের কথা জানি; যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আত্মঘাতি হামলা চালিয়েছিল। কেউ তখন তাদের ধর্মকে দোষ দেয়নি। অথচ আমরা এখানে পশ্চিমাদের সামনে ইসলামের প্রকৃত স্বরূপকে তুলে না ধরে বরং মডারেট হওয়ার চেষ্টা করছি। ইসলামোফোবিয়া সম্পর্কে আলোচনার এই পর্যায়ে আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথা বলতে চাই। আমি এখন যা বলব, গুরুত্ব বুঝি। কারণ, আমি পেশাদার খেলোয়াড় জীবনের একটি বড়ো অংশ পশ্চিমা দেশগুলোতে কাটিয়েছি। তাই আমি খুব ভালো করেই জানি—পশ্চিমারা কীভাবে চিন্তা করে, কীভাবে চিন্তা করতে শিখে। কীভাবে তারা ধর্মকে মুল্যায়ন করে? কিংবা ইসলাম সম্পর্কে এই ভ্রান্ত ধারণাগুলোর সূত্রপাত কীভাবে হয়?
১৯৮৯ সালে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে আমাদের প্রিয় নবিজি (সা.)- কে ব্যাঙ্গ করে, হেয় করে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে অসংখ্য তথ্য সন্নিবেশিত হয়। মুসলিম দেশগুলোতে এই বইটির বিরুদ্ধে ব্যপক প্রতিবাদ হয়েছিল। কিন্তু তখনও পশ্চিমারা প্রকৃত সংকটকে অনুধাবন করতে পারেনি। কারণ, পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্মকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভংগিতে দেখা হয়। ধর্মের আবেদন পশ্চিমা আর আমাদের কাছে অনেকটা ভিন্ন। তারা ধর্মকে আমাদের মতো করে ভাবে না। এই কারণেই পশ্চিমারা ইসলামকে অসহনশীল ধর্ম হিসেবে গণ্য করে, যেখানে ব্যক্তির বাক স্বাধীনতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। আজ থেকে ৩০ বছর আগের বাস্তবতা এমনই ছিল। প্রতি দুই বা তিন বছর পর পর কেউ ইসলামকে নিয়ে, নবীজিকে (সা.) নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করত; তার প্রতিবাদে মুসলিম দেশগুলোতে প্রতিবাদ হতো, বিক্ষোভ হতো। তারপর আবার ইসলামকে একটি অসহনশীল ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
বর্তমানেও একই ধরনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। আমি এই জন্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের ক্ষুদ্র একটি অংশকে দায়ি করব। কারণ, তারা জেনে বুঝে ও স্বজ্ঞানে ইসলামকে এরকম নেতিবাচক উপায়ে চিত্রায়িত করছেন। আর স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণের অধিকাংশই বিষয়টির গভীরতা বুঝতে পারছে না।
অন্যদিকে, মুসলিম নেতৃবৃন্দও নানাভাবে মুসলমানদেরকে হেয় করেছেন। আমাদের উচিত ছিল তাদেরকে বোঝানো যে, রাসুল (সা.) আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বের, কতটা সম্মানের। এখন আমি রাসুলের (সা.) গুরুত্ব সম্পর্কে একটু বোঝানোর চেষ্টা করব।
রাসুল (সা.) এর উপর পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। আল কুরআন নাজিল হয়েছে আমাদেরকে সত্য পথের দিশা দেয়ার জন্য। আর রাসুল (সা.) হলেন সেই কুরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। কুরআনে যা আছে, তা-ই তিনি নিজের জীবনে অনুসরণ করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাই তিনিই হলেন সেই আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, যার মতো আমরা সকলেই হতে চাই, হওয়ার স্বপ্ন দেখি। রাসুল (সা.) মদিনায় ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মদিনার সেই রাষ্ট্রব্যবস্থাই ছিল মুসলিম সভ্যতার ভিত্তিমূল; যার উপর দাঁড়িয়ে পরবর্তী ৭০০ বছর মুসলমানরা গোটা পৃথিবীকে শাসন করেছে।
মদিনা রাষ্ট্রের চেতনা কী ছিল? এখন আমি ইসলাম সমন্ধে অদ্ভুত সব কথা শুনি। অনেক সময় শুনি—ইসলাম নারীদের অধিকারের বিরুদ্ধে, ইসলাম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে। অথচ মদিনায় যে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা ছিল বিশ্বের প্রথম কল্যান রাষ্ট্র। কল্যান রাষ্ট্রের ধারনাটাই এসেছে মদিনার সেই রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে। মদিনা রাষ্ট্র নিজেই বিধবা, এতিম, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব গ্রহন করেছিল। মদিনায় বড়োলোকদের নিকট থেকে কর আদায় করে গরিব নাগরিকদের কল্যাণে ব্যবহার করা হতো।
মদিনা রাষ্ট্রেই সর্বপ্রথম ঘোষনা করে—সকল মানুষই আদমের সন্তান, আর তাই তারা সবাই সমান। গায়ের রং দিয়ে কাউকে বিচার করা হবে না। এর আগে কয়েকশ বছর আরবে ও পশ্চিমা জগতে ক্রীতদাস প্রথার প্রচলন ছিল। সমাজের সার্বিক ব্যবস্থা এই ক্রীতদাস প্রথার উপর জারি ছিল। তাই একে একবারেই বিলুপ্ত করা হয়নি। কিন্তু নবিজি (সা.) বলে গিয়েছিলেন—সবচেয়ে উত্তম কাজ হলো একজন ক্রীতদাসকে মুক্ত করে দেওয়া। তিনি ক্রীতদাসকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মতো করেই বিবেচনা করতে বলেছিলেন। তার এইসব ঘোষণার কারণে মুসলিম সভ্যতায় এমন কিছু বিপ্লব ঘটে যায়, যা অন্য কোনো সভ্যতায় দেখা যায়নি। এমনকি মামলুকদের মতো ক্রীতদাস বংশেরও মিসরের শাসক হয়ে যাওয়ার ইতিহাস রচিত হয়। ভারতবর্ষেও ক্রীতদাস বংশের শাসনের ইতিহাস রয়েছে।
এরপর আসা যাক, সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে। অনেকেই শুনেছেন যে, ইসলাম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য মোটেও তেমনটা নয়। আমাদের রাসুল (সা.) বলেছেন—প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম অনুশীলন করার স্বাধীনতা রয়েছে। অন্য ধর্মের উপাসনালয়কে সংরক্ষন করা আমাদের সবার নৈতিক ও পবিত্র দায়িত্ব। রাসুল (সা.) আরো বলেছেন—ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আইনের চোখে সবাই সমান বলে গন্য হবে। এই প্রসঙ্গে আমি একটি ঘটনা বলতে চাই। আমি প্রায়শই বিভিন্ন ফোরামে এই ঘটনাটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করি, যেখানে ইসলামের চতুর্থ খলিফা একজন কাজির আদালতে একজন ইহুদী নাগরিকের কাছে মামলায় হেরে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়—মদিনা রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই সত্যটি প্রমান করা হয় যে, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। প্রমান করা হয় যে, ইহুদি ব্যক্তিও নাগরিক হিসেবে সমান সুবিধা পাবে। তাই যদি কোনো মুসলিম সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অন্যায় করে, তাহলে তা ইসলামের মূল চেতনা ও নবিজির (সা.) আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।
এই বিষয়গুলো বোঝা খুবই জরুরি। আমাদের রাসুল (সা.) আমাদের হৃদয়ের গভীরে সম্মানের আসনে বসে আছেন। আমরা সবাই জানি—কারো মনে আঘাত লাগলে, তা শারীরিক আঘাতের চেয়েও অনেক বেশি কঠিন হয়, অনেক বেশি ব্যাথার উদ্রেক করে। তাই আমাদের হৃদয়ের গভীরে থাকা রাসুলকে (সা.) নিয়ে যখন কেউ পরিহাস করে, অপমান করে, ব্যাঙ্গ করে, তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মুসলমানরা প্রতিক্রিয়া দেখায়। আমি প্রায়শই ভাবতাম, যদি কখনো এই ধরনের বড়ো ফোরামে আসার সুযোগ পাই, তাহলে আমি বিষয়গুলোকে নিয়ে কথা বলব। কারণ, পশ্চিমে বসবাস করে কখনোই এই প্রকৃত সত্যগুলোকে উপলব্ধি করা যায় না। আমি যখন আমার টিনেজ বয়সে প্রথম ইংল্যান্ডে যাই, তখন সেখানে যিশুখৃষ্টকে নিয়ে একটি কমেডি সিনেমা চলছিল। মুসলিম সমাজে এই ধরনের কোনো চিত্র কল্পনাই করা যায় না।
আমাদেরকে অনুধাবন করতে হবে, মানব সমাজে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ থাকে এবং আমাদের কখনোই এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে অন্য কারও কষ্ট হয়, কেউ আঘাত পায়। পশ্চিমা সমাজে খুব ন্যায্যভাবেই হোলোকাস্টকে তীব্র আবেগ ও অনুভূতির সাথে বিবেচনা করা হয়। কারণ, হোলোকাস্টের এই ঘটনার স্মৃতি রোমন্থনে ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকেরা কষ্ট পায়। আমরা ঠিক এই কথাটিই বলতে চাই। দয়া করে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে আমাদের পবিত্র ধর্মকে নিয়ে, আমাদের রাসুলকে নিয়ে বাজে কোনো মন্তব্য করবেন না। এতে আমাদের কষ্ট হয়। আমরা মানসিকভাবে ব্যাথা পাই। আমাদের হৃদয়ে যন্ত্রনার বন্যা বয়ে যায়।
প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুনঃ প্রথম পর্ব
তৃতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুনঃ তৃতীয় পর্ব
হৃদয়
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ২৩:১৭ অপরাহ্নঅসাধারণ বক্তব্য।
Nazrul Islam
০১ অক্টোবর, ২০১৯ - ০০:৫১ পূর্বাহ্নThanks brother
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ২৩:২৫ অপরাহ্নঅসাধারণ
Husain Tarif
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ২৩:০৩ অপরাহ্নHow fantasti! What a disclosure of thinking! Thank you Imran!
নাঈম
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০০:৩৯ পূর্বাহ্নঅসাধারণ বক্তব্য। অনুবাদককে ধন্যবাদ।
জাকির হুসাইন
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০০:৪৬ পূর্বাহ্নসুবহান আল্লাহ! আল্লাহ তায়ালা ইমরান খান কে কবুল করে নিন। হৃদয়ে আকুতিগুলো দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন।
মুহা. রেজওয়ানুল হক
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০১:৩৭ পূর্বাহ্নএই সত্যগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য আল্লাহ তাঁকে সম্মানিত করুন। উত্তম প্রতিদান দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০১:১৮ পূর্বাহ্নঅনুবাদক কে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ইস্রাফিল সোহেল
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০১:৫২ পূর্বাহ্নধন্যবাদ ভাই মাবরুর ভাই ইংরেজি তে আগে শুনেছি, কিন্তু মাতৃভাষা সাবলীল অনুবাদ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।
আলী আহমাদ মাবরুর
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০৪:১৩ পূর্বাহ্নঅনেক ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০২:২৩ পূর্বাহ্নপুরো ভাষন টি শুনেছি,শিহরিত হলাম
কামরুল
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০২:০৯ পূর্বাহ্নআহ!❤
hhh
২৪ অক্টোবর, ২০১৯ - ০৪:৪১ পূর্বাহ্নhhh
এস এম ইব্রাহীম সোহাগ
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০২:২০ পূর্বাহ্নঅনেক অনেক ধন্যবাদ আলী আহমাদ মাবরুর ভাই।
আলী আহমাদ মাবরুর
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০৪:৪৮ পূর্বাহ্নআপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন।
বিল্লাহ
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০২:৫১ পূর্বাহ্নএক কথায় অসাধারণ, ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মাবরুর ভাইতে
আলী আহমাদ মাবরুর
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০৪:২৮ পূর্বাহ্নজাজাকাল্লাহ ভাই। দোয়া করবেন।
রবিউল ইসলাম চৌধুরী
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ১২:০১ অপরাহ্নঅনুবাদকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।ইমরান খান বিশ্বের মুসলমানদের মনের কথা তুলে ধরেছেন।
অনিচ্ছুক নাম প্রকাশে
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ১৫:১৪ অপরাহ্নমহান আল্লাহ পাক রাব্বিল আলামিন আপনাকে উওম প্রতিদান দান করুন ইহকালে ও পরকালে
Mortuza Hossen
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ১৯:৫৭ অপরাহ্নঅনুবাদের জন্য ধন্যবাদ। শেষ পর্ব কি শেয়ার করা হয়েছে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ২৩:৩৮ অপরাহ্নঅসাধারন
Md. Redwanul islam
০২ অক্টোবর, ২০১৯ - ০০:১২ পূর্বাহ্নMay Grant Imran khan for Islam and Muslim Omma. Also Thanks to Translator Mabrur vi for easy and simple translation.
আরাইম ইসলাম
০৩ অক্টোবর, ২০১৯ - ০৪:২৯ পূর্বাহ্নআমাদের ধর্ম ও জীবনের অস্তিত্বকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য জনাব এমরানকে অভিনন্দন|
মু নিজাম উদ্দীন
২১ অক্টোবর, ২০১৯ - ০৬:৩৬ পূর্বাহ্নইমরান খানের বক্তব্যটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে আর্টিকেল প্রকাশ করে প্রত্যক্ঋ ভাবে আপনি বাংলা ভাষাবাসিদের অনেক উপকার করেছেন। ধন্যবাদ।
জহির রাসেল
২৩ অক্টোবর, ২০১৯ - ০৫:১৬ পূর্বাহ্নজাযাকাল্লাহু খায়রান।
রুহুল আমিন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ - ১৪:৪৭ অপরাহ্নমাশাআল্লাহ